রোমান্টিক প্রেমের গল্প তুমি আসবে বলে
🏙️ অধ্যায় ১: “ইনবক্সের শুরু”
পিকে একজন স্থাপত্য ছাত্র, ঢাকা শহরে নিজের স্বপ্ন নিয়ে পথ চলা শুরু করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকা আর ডিজাইন নিয়ে থাকে মগ্ন। একদিন ইন্সটাগ্রামে হঠাৎ চোখে পড়ে একটি ছবিতে—একজন মেয়ে রাজশাহীর পদ্মা পাড়ে দাঁড়িয়ে, চোখে এক অপার নির্ভরতা।
মেয়েটির নাম লাবনী।
পিকে সাহস করে ইনবক্সে লিখে বসে—
📩 “তোমার ছবিটা যেন কথা বলে... তুমি কি শব্দ পছন্দ করো?”
প্রথমে উত্তর আসে না। তিন দিন পর লাবনী রিপ্লাই দেয়—
🗨️ “সব ছবি শব্দ খোঁজে... কেউ বোঝে না।”
সেইদিন থেকেই শুরু, ওদের প্রতিদিনের কথোপকথন।
📱 অধ্যায় ২: “মন খুলে যাওয়া”
লাবনী বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী। কবিতায় বাঁচে, পদ্মার পাড়ে বসে চুপচাপ আকাশ দেখে।
আর পিকে বাস্তবের রঙে ভবিষ্যতের নকশা আঁকে। কিন্তু ওদের কথায় কখনো ফাঁক পড়ে না।
লাবনী বলে—
🌼 “তুমি কেমন করে জানলে আমি ভাঙা কবিতা লিখি?”
পিকে জবাব দেয়—
🎨 “কারণ আমি ভাঙা দেয়ালও সাজাতে শিখেছি, কবিতা তো অনেক সহজ।”
একসময় পিকে বলতে শুরু করে—
❤️ “তুমি আমার প্রতিদিনের অপেক্ষা।”
লাবনী হাসে, কিন্তু কিছু বলে না। শুধু একটা স্ট্যাটাস দেয়—
“কারও কারও ভালোবাসা চিৎকার হয় না, শুধু নিঃশ্বাস হয়।”
✈️ অধ্যায় ৩: “দূরত্ব”
ঢাকা-রাজশাহী, দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিমি। তবু প্রতিদিন ওদের গল্প, ফোনকল, রাত জাগা চলতে থাকে।
কিন্তু একদিন হঠাৎ করে লাবনীর পরিবারে বিয়ের কথা ওঠে। মেয়ে বড় হচ্ছে, বিদেশ ফেরত এক ছেলের প্রস্তাব এসেছে।
লাবনী জানায় পিকেকে। পিকে স্তব্ধ হয়ে যায়। তারপর বলে—
🧍♂️ “আমি তোমার পাশে দাঁড়াতে চাই, তুমি চাইলে আমি আসবো।”
লাবনী জবাব দেয় না, শুধু বলে—
💬 “তুমি কী পারবে, সমাজের দেয়াল ডিঙিয়ে আসতে?”
🌧️ অধ্যায় ৪: “নিরবতা”
একদিন, দুদিন, তারপর এক সপ্তাহ—লাবনী আর রিপ্লাই দেয় না। ইনবক্স ফাঁকা, ফোন রিং বাজে না।
পিকে বোঝে, এই যুদ্ধ সে একাই লড়ছে। তার বন্ধু বলে—
🗣️ “অনলাইনের প্রেমে এমন হয়, ভাই! ভুলে যা।”
কিন্তু পিকে ভুলতে পারে না। রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে লাবনীর কথাগুলো কানে বাজে—
“আমাকে যদি ভালোবাসো, তবে দৃষ্টিতে রেখো না, হৃদয়ে রাখো।”
🌸 অধ্যায় ৫: “তুমি আসবে বলে”
ছয় সপ্তাহ কেটে যায়। লাবনী এবার ঢাকায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে।
হোটেল থেকে বেরিয়ে সে হাঁটছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, আর হঠাৎই সামনে দেখে—একটা ছেলের হাতে লাল গোলাপ আর এক খণ্ড কাগজ।
সে পিকে।
পিকের চোখে ক্লান্তি, কিন্তু ভালোবাসা অনড়।
সে কাগজটা এগিয়ে দেয়—
📜 “তুমি আসবে বলে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তুমি ফিরে না তাকালে, আমি হেঁটে চলে যাবো না।”
লাবনী কথা বলতে পারে না। তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
দেখতে দেখতে সে পিকের বুকে মাথা রাখে।
💍 অধ্যায় ৬: “ভালোবাসা এখন বাস্তব”
লাবনী সাহস করে পরিবারকে জানায়। পিকেও নিজের পরিবারকে বোঝায়—
প্রেমের জন্য চাকরি বা শহর বড় নয়, মানুষটাই সব।
ছয় মাস পরে দুজনেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পিকে এখন স্থপতি, লাবনী একটি স্কুলে পড়ায়।
ওরা এখনো রাতে ছাদে বসে চা খায়। গল্প হয় প্রেম, সমাজ আর নতুন প্রজন্ম নিয়ে।
তাদের ভালোবাসার গল্প এখন ভাইরাল নয়, কিন্তু স্থায়ী।
কারণ ওরা জানে—
🕊️ “যে ভালোবাসা ত্যাগ শেখায়, সে ভালোবাসাই চিরকাল থাকে"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন